০৭ মে ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিয়ের দাবিতে অনশন নাটক, ৫ লাখ টাকায় রফাদফা বরিশালের সাবেক মেয়র কামালের স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা বরিশালে সর্বজনীন পেনশন মেলা চুয়াডাঙ্গায় আদালতে মায়ের জবানে নিজ শিশু সন্তানকে হত্যার দোষ স্বীকার ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পে “ দর্শনার মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় অভিভাবক সম্মেলন,নাজেরা ও হিফ্জুল কুরআান বিভাগের ক্লাস উদ্বোধন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখীর আশঙ্কা বরগুনায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান
আট আসরের চারবারই টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব

আট আসরের চারবারই টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব

অনলাইন ডেস্ক
আসরজুড়ে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠতে পারলেন না ফাইনালে। নাটকীয় ফাইনালে দল হেরেছে মাত্র এক রানে। তবে পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ২৮৪ ও বল হাতে ১৫
এ নিয়ে আট আসরের মধ্যে চারবারই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতলেন সাকিব।

বিপিএলের জন্মলগ্ন থেকেই যে এ ট্রফিটার ওপর নিজের অধিকার জমিয়ে রেখেছেন একজন। সাকিব আল হাসান। এর আগে তিন টিনটা আসর সেরার গাড়ি গ্যারেজে গেছে তার। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি তার। এর আগে ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৮ আসর সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার।

আধুনিক যুগের ক্রিকেটে এ রকম যে কোনো আসরে ক্রিকেটারদের দেওয়া হয় ফ্যান্টাসি পয়েন্ট। ম্যাচজুড়ে তাদের ব্যাটিং, বলিং, ফিল্ডিং এমনকি ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাদের কার্যকলাপ বিবেচনায় নেওয়া হয় এখানে। বিপিএলের শুরু থেকে দেওয়া সেই পয়েন্টে সবার থেকে এগিয়ে সাকিব আল হাসান। ১১ ম্যাচের তার পয়েন্ট ৯১১ এর বেশি। আর হবেই বা না কেন? টুর্নামেন্টের সেরা ১০ রান সংগ্রাহকের মধ্যে নাম আছে তার। ইকোনমি, স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় নিলে তার ধারে কাছে নেই অন্য কেউ। আর অধিনায়কত্ব তো সেভেন্টি ফাইভকে নিয়ে গেছে অনন্য এক মাত্রায়।

সাকিব বিপিএলে কি করেছেন তার একটা ধারণা পরিসংখ্যান দেখলেই পাওয়া যাবে। যদিও পরিসংখ্যানও সবকিছু বলতে পারে না। মাঠে সাকিব কতটা প্রভাব রাখে তা বুঝতে গোটা টুর্নামেন্ট গভীরভাবে অবলোকন করলে তবেই বোঝা যায়। তবুও একবার সাকিবের পারফরম্যান্সে চোখ বুলানো যাক।

টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে সাকিবের রানসংখ্যা ২৮৪। ১১ ম্যাচে ১১ ইনিংসে ব্যাট করে এই রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেটটাও চমৎকার। ১৪৪.১৬ স্ট্রাইক রেটে ২৪ চার ও ১৫ ছয়ে এই রান সাকিবের। তিনটি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন সাকিব। মিস্টার অলরাউন্ডার বল হাতেও সেরাদের সেরা। উইকেট নিয়েছেন ১৬টি। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তিনে থাকা সাকিবের গুরুত্ব বুঝতে তাকান তার ইকোনোমি রেটের দিকে। মাত্র ৫.১৪ ইকোনোমিতে রান দিয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে সাতের ওপরে ইকোনমিও সমীহ জাগানোর মতো। সেখানে সাকিব কিপ্টে বোলিংয়ে যে চাপ তৈরি করেছেন তাতেই প্রতিপক্ষ অনেকটা ব্যাকফুটে চলে গেছে।

সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স। এর ধারে-কাছেও নেই আর কোনো ক্রিকেটার। ব্যাট এবং বলের এমন দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স দিয়েই সাকিব নিজ দল বরিশালকে টেনে তুলেছেন ফাইনালে।

এর আগে আরও তিনবার বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার অনন্য রেকর্ড করেন তিনি। প্রথম দুই আসরেই টানা বিপিএল সেরা হয়েছিলেন সাকিব। প্রথমবার তার দল খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস সেমিফাইনলে বিদায় নিলেও ২৮০ রান এবং ১৫ উইকেট দখল করে তিনি হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা।

এরপর ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে আবারও টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমারের পুরস্কার জেতেন সাকিব। সেবার তিনি ৩২৯ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি। এরপর আরও একবার সাকিবের হাতেই ওঠে আসর সেরার পুরস্কার। সেটা ছিল গতবারের আগেরবার। সেবার ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ৩০১ রান করার পাশাপাশি ২৩ উইকেট দখল করে সেরা পারফরমার হয়েছিলেন সাকিব। আর এবার নিয়ে হলেন চতুর্থবার।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019